নিউজ ডেস্ক: করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ জুন পর্যন্ত ছুটি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার দুর্বিপাকে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে রাজ্যের কয়েক লক্ষ গৃহশিক্ষক এবং বেসরকারি শিক্ষকগণ। লকডাউনের ফলে গৃহশিক্ষকতা বন্ধ অন্যদিকে বন্ধ রাজ্যের সমস্থা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফলে তাদের জীবনের দৈনন্দিন সঙ্কট ও অনিশ্চয়তা বেড়ে গেছে বহুগুণ। উপার্জন নেই, কিন্তু খরচ আছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনেকেই এখন দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য মূল পেশা থেকে সরে এসে বাজারে সবজি বা মাছ বিক্রি করছেন।
তেমনই এই এক চিত্র দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরে। পেটের দায়ে পেশা পরিবর্তন করেছেন গৃহশিক্ষকরা। যেহেতু তাঁদের সংসার চলত বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিউশন পড়িয়ে কিংবা কোচিং ক্লাস চালিয়ে, সেহেতু তাঁদের এই মুহূর্তে টাকা রোজগারের জন্য বাজারে গিয়ে সবজি বা মাছ বিক্রি করেই উপার্জন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
তবে অনেক গৃহশিক্ষক আবার চক্ষুলজ্জার জন্য সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। যা প্রায় এখন শেষের পথে। তারা না পারছেন ত্রাণের জন্য তদবির করে লাইনে দাঁড়াতে, না পারছেন কোনো সঞ্চয় ভাঙিয়ে খেতে। অনেকের শেষ সম্বলটুকুও নিঃশেষিত। এমতাবস্থায় তারা একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কিছু সাহায্যের জন্য আবেদন জানালেও তাতে বিশেষ কোনো কাজ হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে প্রাইভেট টিউটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে স্থানীয় প্রশাসনে সঙ্গে কথা বলেছে। যাতে কোনওভাবে এই সময় ওই জেলার গৃহশিক্ষদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সেই নিয়ে জেলা শাসককে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসক নিখিল নির্মল। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
The post বন্ধ প্রাইভেট টিউশন, প্রবল অর্থনৈতিক সংকট, বাধ্য হয়ে বাজারে সবজি বিক্রি করছেন গৃহশিক্ষকরা appeared first on বিশ্ব বার্তা.
from হেড লাইনস – বিশ্ব বার্তা https://ift.tt/2Y9CIO4
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন