
পাটনা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জোরকদমে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। আর আজ, মঙ্গলবার সেই বিহারে ভোটের ফল ঘোষণা। তাই উত্তেজনার পারদ চরোম উঠেছে। কে বসবে মুখ্যমন্ত্রীর মসনদে? তেজস্বী যাদব এবং তার দল সরকার গঠন করে বিহারে পরিবর্তন আনবে? নাকি নীতীশ কুমারের সরকারের প্রত্যাবর্তন ঘটবে? এই প্রশ্নে কার্যত সরগরম বিহারের রাজনীতি। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা। সকলের নজর এখন সেখানেই। আর এবার বিহারের ভোটের ফলের সঙ্গে আমেরিকার নির্বাচনের ফলের তুলনা করা হল।
অনেকেই বলছে যেভাবে মার্কিন নাগরিকরা ট্রাম্পকে বিদায় জানিয়ে বাইডেনকে স্বাগত জানিয়েছেন, ঠিক তেমনই বিহারবাসীরা নীতীশ কুমারকে বিদায় জানিয়ে তেজস্বী যাদবকে সাদরে গ্রহণ করবে। শুধু এটা হওয়া সময়ের অপেক্ষা। ভোট পরবর্তী বুথ ফেরত সমীক্ষা বলেছে, নীতীশ কুমারের দীর্ঘ ১৫ বছর সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে তেজস্বী যাদবের দৃঢ়চেতা মনোভাব। কার্যত বিহারের যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সঙ্গে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের তুলনা করে বিভিন্ন পোস্ট করা হচ্ছে।
তবে শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় নয়, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও এই তুলনায় মেতে উঠেছেন। শিবসেনার মুখপাত্র ‘,,সামনা’-য় লেখা হয়েছে মোদি সরকার নমস্তে ট্রাম্প বললেও আমেরিকাবাসী ট্রাম্পকে বাই বাই করে দিয়েছে। ঠিক তেমনই বিহারেও মোদি এবং নীতীশ কুমারের কৌশলী সরকারকে বিদায় জানিয়ে তেজস্বী যাদবকে স্বাগত জানাবে রাজ্য।
এমনকি বলিউড অভিনেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিলাসরাও দেশমুখের ছেলে রীতেশ দেশমুখ টুইট করে লিখেছেন, ‘বিহারের বাইডেন এবং হ্যারিস কে হবেন?’ অন্যদিকে, ওমার আব্দুল্লাহ টুইট করে বিহার নির্বাচনের সঙ্গে আমেরিকার নির্বাচনের তুলনা টেনেছেন। সব মিলিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় যেভাবে বাইডেন এবং ট্রাম্প হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনও নীতিশ কুমার এবং তেজস্বী যাদবের মধ্যেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিচ্ছেন। এখন দিনের শেষে জয়ের হাসিটা কে হাসবে, সেটাই দেখার।
from দেশ – Bharat Barta https://ift.tt/3kgapVt
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন