বজ্রপাতে ধ্বজা পুড়ে গেলেও দ্বারকাধীশ মন্দিরে হলো না ক্ষতি, ভগবানের অপার মহিমা ভাইরাল নেটদুনিয়ায় - Get Breaking & Latest Bengali News Online

Breaking

বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

বজ্রপাতে ধ্বজা পুড়ে গেলেও দ্বারকাধীশ মন্দিরে হলো না ক্ষতি, ভগবানের অপার মহিমা ভাইরাল নেটদুনিয়ায়

বজ্রপাতের কারণে পুড়ে যায় গুজরাটের অন্যতম দর্শনীয় স্থান তথা জাগ্রত দ্বারকাধীশ মন্দিরের ধ্বজা। কিন্তু ধ্বজা পুড়ে গেছে বলে মন্দিরের সেবায়েত এবং পুরোহিতরা যে খুব একটা সমস্যার মধ্যে আছেন সেরকমটা নয়, বরং তারা মনে করছেন দ্বারকাধীশ মন্দির এর এই ধ্বজা বরং তাদেরকে রক্ষা করেছে কারণ আরও বড় ক্ষতি হতে পারত মুহূর্তের মধ্যেই। প্রবল বৃষ্টিপাত এবং প্রচুর বিদ্যুৎ এর মধ্যেই হঠাৎ করেই বাজ পড়ে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায় দ্বারকাধীশ মন্দির এর এই ধ্বজা। বর্তমানে এই ধরা পড়ার ভিডিও টি সোশ্যাল মিডিয়াতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

যে ভিডিওটি ভাইরাল হয় সেখানে দেখা গিয়েছিল ঈশ্বরের অপার মহিমা। ধজাটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে কিন্তু তবুও এখনো পর্যন্ত মন্দিরের মাথায় সেই কমলা রঙের ধ্বজা দেখা যাচ্ছে। অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়ার কারণে সম্পূর্ণ গুজরাটে জীবন একেবারে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল মুহূর্তের মধ্যেই। মঙ্গলবার দ্বারকাধীশ মন্দিরের চূড়ায় পতাকার উপর বাজ পড়ে। আগুন ধরে যায় মন্দিরের মাথায় থাকা ধ্বজায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মন্দিরের আরও বড় ক্ষতি হতে পারত কিন্তু ভগবান তাদেরকে রক্ষা করেছেন।তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের কোথায় এই প্রথম মন্দিরের উপরে বাজ পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনার এমনভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে যে সকলে একটি অজানা আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন। এই ভয়াবহ ঘটনার পরে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি কিন্তু তবুও এই ঘটনাটি বর্তমানে সকলের মধ্যে একটা ত্রাসের সৃষ্টি করেছে। মন্দিরের ধ্বজা নষ্ট হয়েছে তার ইতিহাস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতের মধ্যে একমাত্র এই মন্দিরের ৫২ গজের ধ্বজা তিনবার ওড়ানো হয়। মন্দির এর ভক্তরা সেই ধ্বজা দেন।

কর্তৃপক্ষের কথায় ভক্তদের অর্পণ করা দরজা মন্দিরের শীর্ষে ওড়ানো হয় প্রতিদিন তিনবার করে। কিন্তু একজন ভক্তের ধ্বজা পোড়ানোর জন্য মোটামুটি দুই থেকে তিন বছর অপেক্ষা করতে হয় তাকে। কিন্তু দ্বারকাধীশ মন্দির এ এই ঘটনার পরে ওই ধ্বজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। দুই থেকে আড়াই ঘন্টা মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়, তারপরেই ওই ধ্বজায় আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।



from দেশ – Bharat Barta https://ift.tt/3i6ve6z

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন