মঙ্গলবার বিজেপি রাজ্য কমিটির বৈঠক বসতে চলেছে বিজেপি দপ্তরে। সেই বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন বেশকিছু কেন্দ্রীয় নেতা। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছিল ও বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা করা হবে এই বৈঠকে। ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে যা হয়ে গিয়েছে তা হয়ে গিয়েছে ফল বিশ্লেষণ নয় এরকম ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই দলের মধ্যে অনেকের মধ্যে বাধা বিরোধ দেখা গেছে। তাই আপাতত দলের সকলের মধ্যে সমন্বয় স্থাপন করা এই বৈঠকের লক্ষ্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ভোটের পর থেকে বিজেপির সদরদপ্তরের নেতাদের মধ্যে একটা অসন্তোষ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেন ভোট বিপর্যয় সেই নিয়ে সকলের মধ্যেই একটা চিন্তা শুরু হয়েছে। তার মধ্যে মুকুল রায় দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিজেপির নেতাদের সঙ্গে টাচ রাখছেন না। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি চাইছে না তাদের দলের মধ্যে মতানৈক্য প্রকট হয়ে উঠুক। কোন অনভিপ্রেত পরিস্থিতি উঠে এলে তা যেমন বিজেপির পক্ষে ভালো হবে না, তেমনি বিজেপি কর্মীদের পক্ষেও ব্যাপারটা খুব একটা সুবিধাজনক হবে না। বিজেপির অনেকে বলছেন, এই পরিস্থিতিতে ঘর গোছানো প্রয়োজন, দলের মধ্যে কোন্দল করে কিছু হবে না।
সম্ভবত এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির হতে পারেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এ ছাড়া থাকতে চলেছেন অমিত মালব্য এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিজেপি বর্তমানে সমস্ত নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করার চেষ্টা করছে। দলের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ বসু এই দায়িত্ব পেয়েছেন। এই মুহূর্তে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিয়ে সমস্যা চলছে বিজেপির মধ্যে। রাজনৈতিক মহলে তাকে নিয়ে শোরগোল। তিনি কি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন? এই প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক মহলে ঘুরপাক খাচ্ছে। যদিও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত থাকা নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে খবর।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে থেকেই বিজেপির সঙ্গে আবার নিজের সখ্যতা বাড়ানো শুরু করেছেন। নিজের স্বক্রিয়তা বোঝাতে ইতিমধ্যেই দলকে জোড়া চিঠি পাঠিয়েছেন। এছাড়া তৃণমূলের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সম্পর্ক স্থাপন করা সত্বেও যখন তৃণমূলের কাছে কোন ডাক এলো না, তখন হয়তো রাজিব বন্দোপাধ্যায় আবার বিজেপির দিকে ফেরা শুরু করেছেন। তাই যদি তিনি এই বৈঠকে উপস্থিত থাকেন সেটা নিয়ে খুব একটা অবাক হওয়ার মতো কিছু নেই। ভোট মিটে যাওয়ার পরে বিজেপির অন্দরে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালা শুরু হয়েছিল। বিভিন্ন রাস্তায় বিজেপি নেতাদের নামে পোস্টার পড়েছিল। মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এদের নামে জায়গায় জায়গায় দেখা গিয়েছিল পোস্টার।
কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে আবার সরাসরি তোপ দেগেছিলেন রাজ্যের বেশ কিছু নেতা। আজ বৈঠকে এখনো পর্যন্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয় নাম নেই বক্তার তালিকায়। মুকুল রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে চলে যাবার পর থেকেই কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এর উপরে বিভিন্ন রকম অভিযোগের তীর উঠতে শুরু করেছে। তাই এইবার বৈঠকে তার নাম নেই বক্তা তালিকায়। শেষমেষ তিনি বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কিনা সেই নিয়েও কিন্তু সন্দেহ রয়েছে। আর যদি উপস্থিত থাকেন, তাহলেও কিন্তু বিজেপির স্থানীয় নেতারা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে চলেছেন। এবারের নির্বাচনে তার ভূমিকা নিয়ে বহু বিজেপির ছোট বড় নেতা কৈলাসের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। এমনকি এই তালিকায় আছেন বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা তথাগত রায়। এই পরিস্থিতিতে আজকের বৈঠকে যদি কৈলাস বিজয়বর্গীয় উপস্থিত থাকেন তাহলে কিন্তু তার বিরুদ্ধে বিজেপি নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করবেন এটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
from রাজ্য – Bharat Barta https://ift.tt/3dqZBDf
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন