ভারতে বর্তমানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ঘটনা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এই বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবারে কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করতে চলেছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্যাম্ফোটেরিসিন বি এর বাজারিকরন। রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে এই ওষুধটি কিন্তু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর। তার পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার এই ওষুধটির উপরে ইমপোর্ট ডিউটি সম্পূর্ণরূপে তুলে দিতে চলেছে, যার ফলে এই ওষুধটি কিছুটা সস্তায় পাওয়া যাবে।
এছাড়াও নির্মলা সীতারমণ ঘোষণা করেছেন, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন এবং ওষুধের উপরে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের মতো চার্জ বসাবে। আগামী ৮ জুন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু মন্ত্রী এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তবে শুধুমাত্র ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ নয়, করোনা ভাইরাসের জন্য প্রয়োজনীয় ফ্রী জিনিসপত্রগুলির সার্ভিস আগামী ৩১ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত এক্সটেন্ড করার ঘোষণা করে দিয়েছেন নির্মলা সীতারামন।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে তার অফিসারদের জানিয়েছেন, যেন তারা এই অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ওষুধটি মার্কেটে নিয়ে আসা সমস্ত রকম পরিকল্পনা শুরু করেন। দেশে-বিদেশে যেখান থেকে পাওয়া যায় এই ইনজেকশন ভারতে নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভারতে ইতিমধ্যে পাঁচটি কোম্পানির কাছে এই ওষুধটি তৈরি করার বরাত দিয়েছে মোদি। এই লক্ষ্যে আমেরিকার কোম্পানি গিলিয়েড সায়েন্সেস কাজ শুরু করে দিয়েছে অ্যাম্ফোটেরিসিন বি তৈরি করার।
তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ভারতে ইতিমধ্যেই ১,২১,০০০ ভায়াল ওষুধ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে, এবং আরও ৮৫,০০০ ভায়াল ওষুধ আসছে ভারতে। বিগত কিছুদিনের মধ্যে যেভাবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণের ঘটনা ভারতে বাড়তে শুরু করেছিল, তাতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ প্রশংসাযোগ্য। তবে শুধুমাত্র ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নয় বর্তমানে ভারতে সাদা ফাঙ্গাস এবং হলুদ ফাঙ্গাস আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে। গতকাল এই তিনি ফাঙ্গাস ছাড়াও আরো একটি ফাঙ্গাসের আক্রমণ পরিলক্ষিত হয়েছে ভারতে। সেটি হলো আস্পার্গিলোসিস, যেটি আগের ৩টির মত অতটা মারাত্মক না হলেও, যাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে মারন ফাঙ্গাস হয়ে উঠতেই পারে।
from দেশ – Bharat Barta https://ift.tt/3uBknpn
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন