এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কর ফাঁকি না দিয়ে যারা সর্বদা সঠিক সময়ে কর জমা করে থাকেন সেই সকল ‘সৎ’ করদাতাদের সম্মান জানাতে এবার কর জমার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা চালু করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মোদী। কর দেওয়ার কাজ আরও সহজ করার লক্ষ্যে এই ব্যবস্থা চালু করা হল বলে জানিয়েছেন তিনি। 'ট্রান্সপারেন্ট ট্য়াক্সেশান-অনারিং দ্য় অনেস্ট' বা 'স্বচ্ছ কর ব্যবস্থা, স্বচ্ছ করদাতাদের সম্মান' (Transparent Taxation - Honoring The Honest) নামে একটি নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনাভাইরাসের জেরে করদানের সময়সীমা বাড়াতে বাধ্য হয় মোদী সরকার। এপ্রিল থেকে সময়সীমা বাড়িয়ে তা চলতি বছরের নভেম্বর অবধি করা হয়েছে। কর জমা না পড়ার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে ভারতের অর্থনীতি। বৃহস্পতিবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের সৎ করদাতারা সবসময়ই দেশ গঠনে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আজ এই নয়া সুযোগ-সুবিধা ওই সৎ করদাতাদের সম্মান জানানোর জন্য়ই, তাঁদের জন্যই সরকারের তরফে এই উদ্যোগ।' তিনি আরও বলেন, 'করবিভাগের সব কর্মী ও আধিকারিকদের শুভ কামনা জানিয়ে আমি এই নয়া ব্যবস্থার ওপর থেকে পর্দা উন্মোচন করছি। এই নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে করদানে জটিলতা আরও কমবে। করদাতাদের সুবিধা হবে এই প্ল্যাটফর্মে। করদাতাদের সুবিধার্থে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডিরেক্টর ট্যাক্সেস আরও পদক্ষেপ নেবে। এই পদক্ষেপ ভারতের উন্নয়নে একটি বড় পদক্ষেপ। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আসবে।' প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'নতুন করব্যবস্থার সুফল পাচ্ছেন দেশবাসী। ভারতের কর ব্যবস্থার পুনর্গঠন প্রয়োজনীয় ছিল। করোনার এই সংকটকালে ভারতে রেকর্ড সংখ্যক বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। তাই কর ব্যবস্থায় আরও স্বচ্ছতা আনতে চায় কেন্দ্র। এই প্লাটফর্ম চালু করা হল কর সংস্কারের যাত্রাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে। সৎ করদাতারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারিত হয়েছেন। এবার তাঁদের সম্মান জানানোর সময় এসেছে।' বুধবারই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানায় যে, আয়কর দফতর গত কয়েক বছরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। কর্পোরেট করের হার ৩০ থেকে ২২ শতাংশে নামানো হয়েছে। নতুন কারখানার ক্ষেত্রে কর কমিয়ে করা হয়েছে ১৫ শতাংশ। কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতেও একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে। গত ছয়-সাত বছরে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই, কিন্তু ১৩০ কোটির দেশে মাত্র দেড় কোটি মানুষ কর দেন, যা দেশের জনসংখ্যার নিরিখে নগণ্য। যাঁরা কর দিতে সক্ষম, তাঁদের আত্মসমীক্ষা করা উচিত, বললেন প্রধানমন্ত্রী। কর জমার ক্ষেত্রে স্ক্রুটিনি কোনও নির্দিষ্ট আধিকারিক দ্বারা হবে না, ফলে করদান-প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত হতে চলেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ফেসলেস অ্যাপিল সার্ভিস। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, এর ফলে মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্নেন্সের ব্যাপারে সরকারের যে অঙ্গীকার, তা আরও দৃঢ় হবে। এই সময় ডিজিটাল এখন টেলিগ্রামেও। সাবস্ক্রাইব করুন, থাকুন সবসময় আপডেটেড।
from Business News in Bengali, Latest Bangla Business News, Financial News - Eisamay https://ift.tt/3fUjgK6
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন