নোট ছাপিয়ে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার নিদান এসবিআইয়ের - Get Breaking & Latest Bengali News Online

Breaking

বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০

নোট ছাপিয়ে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার নিদান এসবিআইয়ের

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: সংক্রমণ ঠেকাতে তিন সপ্তাহের লকডাউনে ভারতীয় অর্থনীতির ৮ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি দেখছে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক। একটি রিসার্চ রিপোর্টে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্কটি আরও জানিয়েছে, ২১ দিনের লকডাউনে দেশের অন্তত ৭০% শিল্পোৎপাদন, ব্যবসা, প্রভৃতি অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছে এবং তার ফলে এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ২.৬% নেমে আসবে। এসবিআইয়ের পূর্বানুমান হল, জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার হবে ২.৫%। এ দিকে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা দিন কে দিন বাড়তে থাকায় লকডাউনের মেয়াদ ১৪ এপ্রিলের পরও বাড়ানো হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। মঙ্গলবারও নতুন করোনা সংক্রমণের ধারা সমান গতিতে অব্যাহত থাকায় সারা দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৭৮৯ এবং রোগীমৃত্যুর সংখ্যা ১২৪ জনে পৌঁছেছে। এর প্রেক্ষিতে একাধিক রাজ্য এবং বিশেষজ্ঞ কেন্দ্রকে লকডাউনের মেয়াদ অন্তত আরও দু’সপ্তাহ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। লকডাউনের মেয়াদ বাড়লে অর্থনীতির ক্ষতির বহর আরও বাড়বে সন্দেহ নেই। এসবিআইয়ের রিসার্চ রিপোর্ট ইকোর৵াপে বলা হয়েছে, গত ছয় দশকের মধ্যে কেবল ২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ১.৭% সংকুচিত হয়েছিল। বর্তমানে ভারতের জিডিপির পরিমাণ গোটা বিশ্বের মোট জিডিপির মাত্র ৩.৫%। ‘২১ দিনের লকডাউনের কারণে দেশের জিডিপি আরও ১.৭% সংকুচিত হবে এবং তার ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি বৃদ্ধির হার ২.৬% হবে বলে আমাদের অনুমান,’ রিপোর্টে বলা হয়েছে। গত মার্চ মাসে শেষ হওয়া অর্থবছরে বৃদ্ধির পূর্বাভাসও ৫% থেকে ৪.৫% করেছে এসবিআই। তবে, লকডাউন উঠে গেলে অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে যদি কেন্দ্রীয় সরকার ‘উপযুক্ত’ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে। দেশের গরিব, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষকে করোনার আর্থিক প্রভাব থেকে সাময়িক স্বস্তি দিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ইতিমধ্যেই ১.৭০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কও সুদের হার কমিয়ে এবং ঋণ পরিশোধের কিস্তির সময়সীমা বাড়িয়ে খানিকটা সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু, দেশের শিল্প ও বাণিজ্য মহল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে আরও বড়মাপের আর্থিক প্যাকেজের প্রত্যাশী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীও ইঙ্গিত দিয়েছেন শীঘ্রই দ্বিতীয় প্যাকেজ ঘোষণার জন্য সরকার আলাপ-আলোচনা করছে। কিন্তু, ওই আর্থিক সুবিধা দিতে গেলে সরকারের রাজকোষ ঘাটতি আরও বৃদ্ধি পেয়ে ৭.৫% দাঁড়াতে পারে বলে এসবিআইয়ের অনুমান। ওই ঘাটতির কথা না ভেবে সরকারকে বড় মাপের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করার এবং প্রয়োজনে নোট ছাপিয়ে রাজকোষ ঘাটতি পূরণের শলা দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসবিআইয়ের প্রাক্তণ চেয়ারপার্সন অরুন্ধতী ভট্টাচার্যও একই নিদান দিয়েছিলেন। তবে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর সি রঙ্গরাজনের মতে, যদি নোট ছাপিয়ে রাজকোষ ঘাটতি পূরণের পদক্ষেপ করা হয় তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নিরন্তর সজাগ থাকতে হবে এবং ধীরে ধীরে ওই অতিরিক্ত নগদের জোগান গুটিয়ে নিতে হবে। রঙ্গরাজনও মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সুদের হার কমিয়ে ঋণের চাহিদা বাড়ানো যাবে না। এসবিআইয়ের পরামর্শ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সরকার ‘কোভিড বন্ড’ নামে নতুন ঋণপত্র বিক্রি করে ওই অতিরিক্ত অর্থ জোগাড় করতে পারে এবং নোট ছাপিয়ে সেই টাকায় শীর্ষব্যাঙ্ক ওই বন্ডে লগ্নি করতে পারে।


from Business News in Bengali, Latest Bangla Business News, Financial News - Eisamay https://ift.tt/2JQlblE

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন