সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ করা নিয়ে রীতিমতো সরব হয়ে উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তারা দুজনেই যে কোনভাবেই সাংসদ পদ ছাড়তে চাইছেন না সেটা একেবারে স্পষ্ট। একাধিকবার লোকসভার স্পিকারের কাছে দ্বারস্থ হয়ে রাজ্যের শাসক দল বারবার জানিয়েছে যেন খুব তাড়াতাড়ি এই দুইজনের সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা নিজেও এবারে এই কাজে সাড়া দিয়েছেন। লোকসভার অধ্যক্ষ সরাসরি দুই সাংসদ কে চিঠি পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করেছেন তারা কোন দলে আছেন? ১৫ দিনের মধ্যে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেই নড়েচড়ে বসেন সাংসদ শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডল।
তাই এবারে রীতিমতো লোকসভার স্পিকার কে চিঠি দিয়ে সময় চেয়েছেন সাংসদ শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডল। শিশির অধিকারী সরাসরি জানিয়েছেন তিনি সময় চাইছেন আর কিছুদিনের জন্য। শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি দিল্লি যেতে পারেননি বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে সুনীল মণ্ডল বলছেন তিনি তৃণমূলে আছেন এবং তৃণমূলে থাকবেন। সাফ জানিয়েছেন তিনি এখনো পর্যন্ত বিজেপি সদস্য পদ গ্রহণ করেননি।
শিশির অধিকারী এবং সুনিল মন্ডলের এই চিঠির পরেই আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। সুনীল মন্ডল যে বিজেপি থেকে আবার তৃণমূলে যোগদান করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেটা আর নতুন করে বলার দরকার নেই। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে তিনি জানিয়েছেন তিনি বিজেপি সদস্যপদ গ্রহণ করেননি। একুশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সুনীল মণ্ডল এবং শিশির অধিকারী দুজনেই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তারপর থেকেই তৃণমূল সক্রিয় হয়ে উঠেছিল তাদের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে।
বিধানসভা নির্বাচনে সকলেই মনে করেছিল এবারে ভারতীয় জনতা পার্টি জয়লাভ করবে। কিন্তু সেই আশায় সম্পূর্ণরূপে জল ঢেলে দিয়ে তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই পুরনো কর্মীদের আবার তৃণমূলকে ফিরে আসার হিড়িক পড়তে শুরু করে। মুকুল রায় থেকে শুরু করে আরো অনেকেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। অনেকে আবার তৃণমূলের ফিরে আসার চেষ্টা করছেন। তার মধ্যেই গতকাল সুনীল মণ্ডল সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এবং বিজেপির সদস্য পদ গ্রহণ করেননি। তবেতাকে আর দলে ফেরত নেওয়া হবে কিনা সেই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো কিছু জানানো হয়নি। তার মাঝেই লোকসভার অধ্যক্ষের এই চিঠি। এখন বল সরাসরি রয়েছে দুজনের কোর্টে। সুনীল মণ্ডল নিজের উত্তর দিয়ে দিলেও এখনো পর্যন্ত শিশির অধিকারীর কাছ থেকে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। দেখা যাক কাঁথির সাংসদ এবং প্রবীণ রাজনীতিবিদ কি করেন এবার।
from দেশ – Bharat Barta https://ift.tt/3CelK2k
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন