ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় তদন্ত ভার গেলো এবারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এর কাছে। আজকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, জানানো হযেছে, এবারে খুন, ধর্ষনের মতো অতি জঘন্য অপরাধের তদন্ত করবে সিবিআই। অন্যদিকে ছোট মামলার তদন্ত করার জন্য ৩ সদস্যের একটি সিট গঠন করা হবে বলে জানিয়েছে আদালত। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিবিআই এবং সিটকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।
পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে হাইকোর্টের নির্দেশ, যারা এই ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ তাদেরকে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপির তরফে এই রায়কে স্বাগত জানানো হয়েছে। কার্যত এই রায়ের ফলে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের তরফে কুনাল ঘোষ বলছেন, “হাইকোর্টের রায় নিয়ে প্রকাশ্য বিরোধিতা করা যায় না। ওঁরা নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই নির্দেশ খতিয়ে দেখে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। সম্ভাব্য আইনি দিকগুলি বিবেচিত হবে। আমরা মনে করি NHRCর রিপোর্ট সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে HC নিয়ে এখন কোনো মন্তব্য করছি না।”
কলকাতা হাইকোর্ট এর তরফে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের টিমের রিপোর্টকে স্বাগত জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন জায়গায় জায়গায় ঘুরে যেসব রিপোর্ট জোগাড় করেছিল তার মধ্যে ১৯০০ এর বেশি রিপোর্টার মধ্যে সারবত্তা খুঁজে পেয়েছিল। এর মধ্যে ৭২ টি ধর্ষনের মামলা এবং ৫২ টি খুনের মামলা। বলা হয়েছে এইসব খুনের এবং ধর্ষনের মামলার তদন্ত করবে সিবিআই। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে মান্যতা দিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের এই নতুন নির্দেশ।
বাকি অভিযোগের ক্ষেত্রে সিট গঠন করে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এখানে একটা ব্যাপার আছে। এইসব তদন্ত কিন্তু চলবে হাইকোর্টের নির্দেশে। অর্থাৎ আদালতের আদেশ না পেলে কাউকে গ্রেফতার করা যাবেনা। আগামী ৪ অক্টোবর এর শুনানিতে এই মামলা নিয়ে আরো জল গড়ানোর সম্ভাবনা আছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
from রাজ্য – Bharat Barta https://ift.tt/3mnMjfY
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন