এবারের বিধানসভা নির্বাচনের সর্বশক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন মঞ্চ থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত বাংলায় এসে প্রচার করে গিয়েছেন এবারের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার প্রচুর চেষ্টা করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু তেমন একটা সুবিধা হয় নি। ভারতীয় জনতা পার্টির ৭৭ আসনে থেমে গিয়েছিল।
কিন্তু, তাসত্ত্বেও বাংলার ২ নেতার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়তে চলেছে এবারে।সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, এবারে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে চলেছেন বাংলার দুই সাংসদ। এতদিন পর্যন্ত প্রতিমন্ত্রী হলেও প্রধানমন্ত্রির মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা বাংলা থেকে এখনো পর্যন্ত কেউ পায়নি। কিন্তু এবারে বাংলা ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম হবে। উত্তরপ্রদেশের ভোটের আগে মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই কারণেই তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলা থেকে ২ জনকে মন্ত্রী করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনো পর্যন্ত সম্ভাব্য হিসেবে যাদের নাম উঠে আসে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামানিক, জগন্নাথ সরকার এবং দিলীপ ঘোষ। তার মধ্যে নিশিথ প্রামানিক এবং দিলীপ ঘোষের মন্ত্রী হবার সম্ভাবনা প্রবল। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর এর ক্ষেত্রেও সম্ভাবনা রয়েছে। এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গে মতুয়া ভোটের উপর ফোকাস করেছে বিজেপি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে তেমন কিছু লাভ না হলেও, আগামী লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশ কয়েকটি সিট জিততে চাইছে বিজেপি। সে ক্ষেত্রে মতুয়া অধ্যুষিত অঞ্চল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা কাজ করবে। এই কারণেই মতুয়াদের নেতা শান্তনু ঠাকুর কে মন্ত্রী করা যেতে পারে বলেও অনেকে বলছেন।
অন্যদিকে নিশীথ প্রামানিক উত্তরবঙ্গের বেশ জনপ্রিয় এবং ডাকসাইটে নেতা হিসেবে পরিচিত। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর যখন উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন তখন তার সফরসঙ্গী ছিলেন নিশীথ প্রামানিক। তাই ভারতীয় জনতা পার্টিতে নিশীথ প্রামানিক কে বেশ খানিকটা গুরুত্ব দেওয়া হয়। তার পাশাপাশি, কোচবিহারের একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে এবারে বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন নিশীথ প্রামানিক। অর্থাত এই কথা বোঝাই যায় শুধুমাত্র মোদী হাওয়াতে নয়, তিনি নিজেও উত্তরবঙ্গের একজন জনপ্রিয় মুখ। এছাড়াও আছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর কিছুদিনের মধ্যেই তাঁর রাজ্য সভাপতি হিসেবে মেয়াদ ফুরিয়ে যেতে চলেছে। আর, বিজেপির রীতি যদি না বদল হয়, তাহলে আর বিজেপি রাজ্য সভাপতি থাকতে পারবেন না দিলীপ ঘোষ, তাই তাকে সরিয়ে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে বিজেপি হাইকমান্ড। এবারে সবকিছুই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী, বি জে পি জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সিদ্ধান্তের উপরে।
from রাজ্য – Bharat Barta https://ift.tt/3dBSeJo
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন