ভারতীয় জনতা পার্টিকে বেশ বড় ব্যবধানে পরাজিত করে তৃতীয় বারের। জন্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বারের সরকার গঠিত হওয়ার পরে এই প্রথম রাজ্য বাজেট পেশ করল নতুন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র যেহেতু অসুস্থ তাই এবারের বাজেট বক্তৃতা পাঠ করলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের সপ্তদশ বিধানসভার এই প্রথম বাজেট অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গলবার। নিয়ম মেনে রাজ্য বাজেট অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
এই বাজেটে রাজ্যের জন্য অনেক নতুন ঘোষণা এবং সামাজিক প্রকল্পের ঘোষণা করা হলো। সেই কিছু ঘোষণা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক এবং দেখা যাক রাজ্যের জন্য কি কি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
1. রাজ্যের জন্য ৩লক্ষ ৪ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছে ২০২১-২২ অর্থ বর্ষে।
2. স্টাম্প ডিউটিতে ২% ছাড় দিয়েছে রাজ্য সরকার।
3. ১ জুলাই থেকে ৩১ শে ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত রোড ট্যাক্স মওকুফ করেছে রাজ্য সরকার।
4. আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাজ্যে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
অমিত মিত্র এর বক্তব্য –
বর্তমানে শারীরিকভাবে অত্যন্ত অসুস্থ থাকার কারণে অমিত মিত্র এবারে বাজেট পেশ করতে পারলেন না। তবে তিনি এই বাজেট নিয়ে তার মতামত জানিয়েছেন। অমিত মিত্র বলেছেন, ” আমি বারবার কেন্দ্রীয় সরকারকে বলছি, সাধারণ মানুষের হাতে টাকা দিতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে টাকা পৌঁছেছে তারা খরচ করবে এবং তবে কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে পারবে অর্থনীতি। কিন্তু আমাদের সরকার একেবারে সঠিক নীতি নিয়ে এগোচ্ছে কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি একেবারেই ভুল।” অমিত মিত্র আরো বলেন, ” কেন্দ্র এক ধাক্কায় ১০% কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে দিয়ে অর্থনীতিকে একটা ক্ষতির সম্মুখীন করে দিল। কিন্তু তারা কোনোভাবেই বিনিয়োগ করল না বলে তাতে কোন লাভ হল না।” তিনি আরো বলেন, ” এ রাজ্যে আমরা সাধারন মানুষের হাতে টাকা দিচ্ছি। তারা সেই টাকা বাজারে এসে খরচ করতে পারছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আসছে এবং চাহিদা তৈরি হচ্ছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ম্যাক্রো ইকোনমিক্স পলিসি শেখা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের। সামাজিক জায়গায় বেশি টাকা বিনিয়োগ করা রাজ্যের একটি অন্যতম বড় সিদ্ধান্ত।”
মমতা বন্দোপাধ্যায় এর ঘোষণা –
1. এই বাজেট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন ২০ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বরাদ্দ।
2. ১৪২২৫ কোটি টাকা এ বছর কমিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।
3. ২০১৯অর্থ বছরে ১১ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। কিন্তু তবু আমরা 33 হাজার কোটি টাকা পাব কেন্দ্রের কাছ থেকে। তাই ইতিমধ্যেই অন্তত ৬০ হাজার টাকা কেন্দ্রীয় সরকারি থেকে পাওয়ার কথা। কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ রুপে বঞ্চিত।
4. যখন পশ্চিমবঙ্গে আম্ফান ঝড় হয়েছিল তখন কেন্দ্রের কাছ থেকে ২ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এর বেশি আমরা আশা করতে পারিনি। যশ ঘূর্ণিঝড়ের পড়ে আমরা ২১হাজার কোটি টাকা দাবি করেছিলাম কিন্তু দেওয়া হয়েছিল মাত্র ৩০০ কোটি টাকা।
5. সামাজিক সুরক্ষার জন্য সর্বমোট ১৮৬৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার
6. করোনাভাইরাস ম্যানেজমেন্টে ১৮৩০কোটি টাকা, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে ২৫০ কোটি টাকা, নারী এবং শিশু উন্নয়ন অর্থাৎ লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পে ১০ হাজার কোটি টাকা এবং স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ১৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
from রাজ্য – Bharat Barta https://ift.tt/36gL2yc
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন