তৃণমূল তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী, সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র এবং তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের বয়ান রেকর্ড করলো পুলিশ। জানা যাচ্ছে ভুয়া ভ্যাকসিন কাণ্ডে তাদের তিনজনের বয়ান রেকর্ড করাহয়েছে পুলিশের তরফ থেকে। প্রথমে তৃণমূল তারকা সংসদ মিমি চক্রবর্তী নিজের তৎপরতার মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন কান্ড প্রকাশ্যে এনে ফেলেন। তারপরে দেবাঞ্জন দেবের একের পর এক কীর্তি সামনে আসতে থাকে।
মিমি চক্রবর্তী কসবায় যে ভ্যাকসিন কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করেছিলেন সেখানে তাকে দেওয়া হয়েছিল একটি অ্যান্টিবায়োটিকের টিকা। যেহেতু মিমি চক্রবর্তীর গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা ছিল তাই তার ক্ষেত্রে এই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ টি খুব একটা ভাল কাজ করেনি। বেশ কয়েকদিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। মিমি চক্রবর্তীর তৎপরতার পরেই এই মামলায় সক্রিয় হয় কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে একটি হলফনামা পেশ করে পুলিশ জানিয়েছে, তারা মিমি চক্রবর্তী, শান্তনু সেন এবং লাভলী মৈত্রের বয়ান রেকর্ড করে ফেলেছে।
পাশাপাশি সেরাম ইনস্টিটিউটের জেনারেল ম্যানেজার কে সমন পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ, এই সংস্থা থেকে এই ভ্যাকসিন কেনার জন্য ইমেইল করেছিলেন দেবাঞ্জন দেব। নিজের পরিচয় গোপন রাখার জন্য দেবাঞ্জন একাধিক ইমেইল আইডি তৈরি করেছিল। ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জন এর এই সমস্ত তথ্য পেতে বিশ্বের বৃহত্তম সার্চ ইঞ্জিন সংস্থা গুগলকে চিঠি পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম গোয়েন্দারা।
গত ২২ জুন তারিখে কসবায় ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্পে গিয়ে একটি ভুয়ো টিকা গ্রহণ করেন মিমি চক্রবর্তী। তারপরে গত ২৩ শে জুন এই প্রতারণার ঘটনা সামনে আসে। তারপর থেকে শহরজুড়ে প্রতারণার যে জাল ছড়িয়ে বসেছিল দেবাঞ্জন তা আস্তে আস্তে সামনে চলে আসে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় প্রায় ৫০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। এই মামলা ইতিমধ্যেই আদালতে উঠেছে এবং কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে এই মামলায় একটি হলফনামা পেশ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতারণা চক্রের দুই কোটি কোটি লক্ষ টাকা লেনদেনের বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছে তদন্তকারীরা।
from রাজ্য – Bharat Barta https://ift.tt/2SIrDD4
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন