আগেরবারের লকডাউন এর সময় মদের দোকান প্রথমদিকে খোলা ছিল। সেই সময় বহু ব্যবসায়ী কালোবাজারি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। তাই এবারে লকডাউনে মদের দোকান নিয়ে অতিরিক্ত সতর্ক রাজ্য সরকার। এবারের করোনাভাইরাস আক্রমণ আরো ভয়াবহ হতে চলেছে, এই কারণে এবারের লকডাউনে মদের দোকান কে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের মধ্যে না ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্য সচিব দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে বললেন, আগামী ১৫ দিন রাজ্যের সমস্ত মদের দোকান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকবে। গতবছরের লকডাউন থেকে শিক্ষা নিয়েছে রাজ্য সরকার। গতবারের লকডাউনে যখন মদের দোকান খোলা ছিল সেই সময় কালোবাজারি চরমে পৌঁছে ছিল। তারপর লকডাউন খোলার পরেই সরকার মদের দোকান খোলা ছার দিয়েছিল। কিন্তু মদের দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় দোকানের সামনে লম্বা লাইন। সামাজিক দূরত্ব কেউ বজায় রাখছেন না বললেই চলে।
লকডাউন এর উদ্দেশ্য ছিল সম্পূর্ণরূপে সংক্রমনের শৃঙ্খলা ভেঙে দেওয়া, কিন্তু সেরকম তো হলোই না উল্টে সামাজিক দূরত্ব পালন একেবারেই ভেঙে গিয়েছিল। তাই এবারে কোন ঝুঁকি না নিয়ে রাজ্য সরকার সরাসরি মদের দোকান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে মদের দোকান বন্ধ থাকলেও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের কিছু কিছু দোকান খোলা থাকবে।
দুধ এবং তা যোগানের সম্পর্ক রয়েছে মিষ্টির দোকানের সঙ্গে। তাই এবারের লকডাউনে মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। মিষ্টির দোকানের সঙ্গে অনেক জীবিকা জড়িত। তার পাশাপাশি যোগান যেহেতু রয়েছে তাই মিষ্টির দোকান খুলতে তেমন কোনো অসুবিধা নেই। তবে মিষ্টির দোকানে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলতে হবে। বাজার বন্ধ হবার পরে মিষ্টি দোকান খোলার সময় সীমা দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, মিষ্টি দোকানে ভিড় এর পরিমাণ খুব একটা বেশী হবেনা।
from রাজ্য – Bharat Barta https://ift.tt/3fjhPH8
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন