নিউজ ডেস্ক: বাম জমানার বঞ্চনার বীজ এই জমানায় বৃক্ষে রূপান্তরিত, তবুও গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের বঞ্চনা যে তিমিরে ওই তিমিরেই থেকে গেলো। একটি অরাজনৈতিক শিক্ষক সংগঠনের করা মামলা ও তার রায়ে গত ২২ জুন কলকাতা হাইকোর্টের বঞ্চনার বিষয়টি কে স্বীকৃতি। বেতন কমিশনকে স্পষ্টভাবে রাজ্যের গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন কাঠামো স্থির করার নির্দেশ, বারেবারে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে ওই সংগঠনের নেতাদের সাক্ষাৎ, শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, এমনকি মুখ্যমন্ত্রীরও প্রতিশ্রুতি- কোনও কিছুই এ রাজ্যে একজন স্নাতকোত্তর এবং স্নাতক পাশ গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক এর মধ্যে বেতনের ন্যায্য ফারাক ২৭০০ র মধ্যে বেঁধে রাখতে পারেনি। বরং তা সম্পুর্ণ বেয়াইনিভাবে ৯ হাজার টাকার বেশী করে দেওয়া হয়েছে এবারের রাজ্য পে কমিশনে।
প্রায় এক লক্ষ ২০ হাজার গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের অধিকাংশের ভেতরেই দানা বাঁধছিল ক্ষোভ, কিন্তু এবারে সেই ক্ষোভের আঁচ চরমভাবে এসে পড়লো এ রাজ্যের শাসক ঘনিষ্ঠ শিক্ষক সংগঠনের অন্দরে।
সম্প্রতি ঝাড়্গ্রাম জেলার প্রচুর শিক্ষক-শিক্ষিকার সরাসরি বিজেপি ঘনিষ্ঠ শিক্ষক সংগঠনে যোগদান তারই প্রমান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক বলেই ফেললেন, “শাসক দলের রোষের মুখে পড়তে হবে বলে, এই বিষয়ে কেউ সরাসরি মুখ না খুললেও, গ্র্যাজুয়েট শিক্ষকদের বেতন বঞ্চনা নিরসন না করার অপরাধে তৃণমূল শিক্ষা সেলের প্রতি রাগ, অভিমান ও ক্ষোভের ফল সরাসরি ভোটবাক্সে পড়বে এ ব্যাপারে নিশ্চিত।” সংগে তিনি যোগ করেন, “আর ঠিক এই কারণেই বিজেপির প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে। আর বিজেপিও সুকৌশলে এই সুযোগের পূর্ণ ব্যাবহার করে সংগঠনের জাল বিস্তার করছে সারা রাজ্যে।”
অন্য আর এক শিক্ষকের বক্তব্য, “হাইকোর্টের রায়কে সরকার নস্যাৎ করেনি, আবার সদর্থক পদক্ষেপও গ্রহণ করেনি। এ থেকে পরিষ্কার বিগত বাম সরকারের ন্যায়, এই সরকারও গ্র্যাজুয়েট টিচার্স দের সংগে বঞ্চনা জিইয়ে রেখেই ভোট পার করতে চায়। আর এ ব্যাপারে তৃণমূল শিক্ষা সেল যেভাবে মুখে কুলুপ এঁটেছে, তাতে করে সরকারের সদিচ্ছার ব্যাপারে সন্দেহ উত্তরোত্তর বাড়ছে। তবে সরকারের এবং তৃণমূল শিক্ষা সেলের মনে রাখা উচিৎ শুধু ১ লক্ষ ২০ হাজার শিক্ষকই নন, তাঁদের পরিবারের লোকজনও কিন্তু ভোট দেবেন।”
The post বেতন বঞ্চনা ইস্যুতে উদাসীন সরকার, শাসক ঘনিষ্ঠ শিক্ষকদের মধ্যেও বাড়ছে ক্ষোভ! সুযোগ নিচ্ছে বিজেপি appeared first on বিশ্ব বার্তা.from হেড লাইনস – বিশ্ব বার্তা https://ift.tt/3gdJ1pM
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন